টেকনাফে পুলিশের ‘গুলিতে’ তিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্র,মাদক,মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক তিন আসামী নিহত। ৩ পুলিশ আহত, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার।

নিহত ব্যাক্তিরা হলেন, উখিয়া বালুখালী ১৭ নাম্বর রোহিঙ্গা বস্তির ফজল আহাম্মদের পুত্র মোঃ জামিল (২০), একই রোহিঙ্গা বস্তির নবী হোসেনের পুত্র মোঃ আসমত উল্লাহ (২১), টেকনাফের বাহারছড়া নতুনপাড়া এলাকার মৃত মোঃ আলীর পুত্র মোঃ রফিক (২৪)।

টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড়ী এলাকায় ১৯ সেপ্টেম্বর ভোর রাতের দিকে এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।
উক্ত ঘটনায় এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল রাকিবুল ও দেলোয়ার গুরুতর আহত হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যা অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িত থাকা এবং বহু মামলার পলাতক ৩ জন পলাতক আসামীকে আটক করা হয়। এরপর তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি,ডাকাতি অপহরণ, মানুষহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে সাথে তারা সক্রিয় ভাবে জড়িত।

আটক আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাহারছড়া শামলাপুর ঢালা এলাকায় জঙ্গলের ভিতর অস্ত্র ও ডাকাত দলের চোরাই করা পন্য উদ্ধার করার জন্য গেলে উৎপেতে থাকা তাহাদের সহযোগী,অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা এলোপাতাড়ী গুলি ছুড়তে থাকে এরপর পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। তারপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। উভয় পক্ষের এই গোলাগুলির ঘটনাটি নিয়ন্ত্রনে আসারা পর ঘটনাস্থল থেকে আগে আটক হওয়া ঐ ৩ আসামীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমাজেন্সির দায়িত্বরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ৩জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী ৩টি এলজি, ৬ রাউন্ড তাজা গুলি,৮ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংঘটিত এই ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে বলে জানান তিনি।